আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশের রেফারিকে ফিফার অভিনন্দন

অনলাইন রিপোর্ট:

করোনাভাইরাসের দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই। নিলামের মাধ্যমে নিজেদের স্মারক বিক্রি করে দুস্থদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছেন। সেই নিলামে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল পরিচালনা করা ঐতিহাসিক জার্সিটি বিক্রি করে দেন বাংলাদেশের রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু।
করোনার দুর্যোগে এমন মহৎ কাজের জন্য তৈয়বকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ২০১৩ সালে সাফ ফুটবলের ফাইনালে যে জার্সি গায়ে দিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন তৈয়ব হাসান, সেই জার্সি পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি। কিনে নিয়েছেন সাতক্ষীরার এক ব্যবসায়ী।

সাবেক এই ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসানকে এক চিঠিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইনফান্তিনো, ‘করোনাভাইরাসে চলমান সংকট মোকাবিলায় আপনি ২০১৩ সালের সাফ ফাইনালের জার্সি নিলামে তুলেছেন। আপনার এই সিদ্ধান্তের কথা আমি জেনেছি। এমন সুন্দর একটি উদ্যোগের জন্য আপনাকে অভিনন্দন।’

তৈয়বের কাজের প্রশংসা করে ফিফা সভাপতি আরো বলেন, ‘এই দুঃসময়ে আপনার এই প্রশংসনীয় উদ্যোগ অনেকের দুর্দশা দূর করবে। পাশাপাশি সুদিন ফেরাতে ভূমিকা রাখবে।’

ফিফা সভাপতি এই কাজের জন্য রেফারি তৈয়বকে ফুটবল সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।

সাতক্ষীরার কৃতী সন্তান তৈয়ব হাসান আন্তর্জাতিক রেফারি ছিলেন ১৯৯৯-২০১৬ সাল পর্যন্ত। দীর্ঘ ১৮ বছরে শতাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। বাংলাদেশে কোনো রেফারি হিসেবে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করার রেকর্ড এটি।

টানা ১০ বছর এএফসির এলিট প্যানেলে ছিলেন তৈয়ব হাসান। এশিয়ার সেরা ২৫ রেফারির তালিকায় ছিলেন। বিশ্বকাপ বাছাই, অলিম্পিক বাছাই, এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ, এএফসি কাপ, দুটি এশিয়ান গেমস, এএফসি বিভিন্ন টুর্নামেন্টের ফাইনাল রাউন্ড, সাফ, সাফ গেমসসহ অনেক ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর।

এ ব্যাপারে তৈয়ব হাসান বলেন, ‘আমি হয়তো কোনো ক্রীড়াবিদ নই। নামীদামিও কেউ নই। কিন্তু তারপর ভেবেছি, এ সময়ে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য কিছু করা উচিত। আমার সামান্য আর্থিক অনুদানে যদি একজন মানুষও উপকৃত হয়, সেটিই হবে আমার সার্থকতা। তাই সাফ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচের জার্সিটি নিলামে তোলার ঘোষণা দিয়েছি। সেটা থেকে প্রাপ্ত সব অর্থ করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে।’